Man Power Export Policy

বিস্মিল্লাহির রাহ্মানির রাহীম
"তোমাদের উত্তরাধিকারীদেরকে পরমুখাপেক্ষী এবং নিঃস্ব অবস্থায় রেখে যাওয়ার চেয়ে তাদেরকে আত্মনির্ভর এবং সম্পদশালী অবস্থায় রেখে যাওয়া অনেক ভালো"। -সহীহ্ আল বোখারী

পলিসি গ্রহণ ও দাবী পরিশোধের ক্ষেত্রে রিক্রুটিং এজেন্সীর ভূমিকাঃ

পলিসি গ্রহণ ও দাবী পরিশোধের ব্যাপারে রিক্রুটিং এজেন্সীসমূহের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। যেমন:
ক)পলিসি গ্রহণের সময় বিদেশগামী কর্মীর জীবন বীমা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য রিক্রুটিং এজেন্সী অফিস, বায়রা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানীকে প্রদান করবেন।
খ)বীমা দাবী পরিশোধের সময় বীমা গ্রহীতার মৃত্যুর সনদপত্র এবং যে দেশে বীমাকৃত মৃত্যুবরণ করেছেন সে দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস-এর সনদ এবং মনোনীতকের সাথে যোগাযোগের বিষয় রিক্রুটিং এজেন্সীকেই বায়রা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানীকে তথ্য সরবরাহ করতে হবে।

দাবী পরিশোধের পদ্ধতি:

মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর সনদপত্র এবং যে দেশে মৃত্যু বরণ করেছেন সে দেশের বাংলাদেশ দূতাবাসের সনদপত্র কোম্পানী বরাবর প্রেরণ করলে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে বীমা গ্রহীতার মনোনীতকের নিকট নির্ধারিত বীমা অংকের দাবী পরিশোধ করা হবে। এক্ষেত্রে কোম্পানীর নিয়মানুযায়ী দাবী পরিশোধ করা হবে। সেক্ষেত্রে কোম্পানীর নিয়মানুযায়ী দাবী সম্পর্কিত যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

বীমাবৃত হওয়ার যোগ্যতা:

যে সকল ব্যক্তি অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সীর মাধ্যমে বিদেশ যাবেন এবং বীমাবৃত হবেন তাদের বয়স ২২ বছর হতে ৪৫ বছরের মধ্যে থাকতে হবে।

জনশক্তি রপ্তানী বীমা

বিদেশে কর্মরত লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশী নাগরিক যারা কঠোর পরিশ্রম করে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে চলেছেন, তাদের পরিবারবর্গের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বায়রা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানী লিমিটেড গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদনক্রমে “জনশক্তি রপ্তানী বীমা” স্ক্রীম চালু করেছে। এই স্কীমে বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশীদের অকাল মৃত্যুতে অত্যন্ত অল্প প্রিমিয়ামের বিনিময়ে বায়রা লাইফ আর্থিক ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

সাধারণতঃ জীবন বীমা পলিসি গ্রহণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ডকুমেন্ট জমা দেয়ার যে ঝামেলা আছে, এই স্কীমে তা নেই। শুধুমাত্র অল্প কিছু তথ্য প্রদান করে একটি ফরম পূরণের মাধ্যমে পলিসি গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করা যায়। উল্লেখ্য প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশী নাগরিকদের দূর্ঘটনায় বা স্বাভাবিক মৃত্যুতে তাদের পরিবারের সদস্যদের দূর্দিনে আর্থিক সাহায্য করার জন্য কোন সু-ব্যবস্থা সরকারী ভাবে নেই।

এমতাবস্থায়, বায়রা লাইফের এই স্কীম নিঃসন্দেহে একটি মহতী সমাজকল্যাণমূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত।

নিম্নে এই বীমার প্রিমিয়ামের হার ও সুবিধাসমূহ উল্লেখ করা হল:

বীমা অংক ও প্রিমিয়াম:

বীমা অংক জনপ্রতি ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) ও ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা এবং প্রিমিয়ামের হার হবে যথাক্রমে ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা ও ১,০০০/- (এক হাজার) টাকা।

বীমার মেয়াদ:

প্রাথমিকভাবে নির্ধারিত শর্তাবলী অনুযায়ী বীমার মেয়াদ হবে ১ (এক) বছর।

প্রিমিয়াম পরিশোধ পদ্ধতি:

এক বছরের প্রিমিয়ামের টাকা বীমার শুরুতে এককালীন পরিশোধ করতে হবে।

সুবিধাসমূহ:
মৃত্যুতে প্রতিপ্রাপ্য:

বিদেশে কর্মরত অবস্থায় এক বছরের মধ্যে যে কোন কারণে বীমা গ্রহীতার মৃত্যু হলে সে ক্ষেত্রে বীমা গ্রহীতার বৈধ প্রতিনিধিকে ৫০০/- টাকার প্রিমিয়ামে ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) এবং ১,০০০/- (এক হাজার) টাকার প্রিমিয়ামে ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা প্রদান করা হবে। 

বেকার ভাতা:

যারা চাকুরী নিয়ে বিদেশ যাচ্ছেন, যদি তাদের নিজেদের কোন ত্র“টি/অযোগ্যতার কারণ ছাড়া, যে এজেন্সীর মাধ্যমে বিদেশ গিয়েছেন, তাদের অথবা বিদেশী নিয়োগ কর্তার ত্র“টির কারণে যদি ০৩ (তিন) মাসের মধ্যে দেশে ফেরৎ আসেন, তাহলে বায়রা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানী লিঃ তাকে প্রতি ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা বীমার জন্য ৪,০০০/- (চার হাজার) এবং ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা বীমা অংকের জন্য ৮,০০০/- (আট হাজার) টাকা এককালীন বেকার ভাতা প্রদান করবে।